২০ মে ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার বানারীপাড়ায় শিক্ষাই শক্তি সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন এলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুমকেতুর মতো যাদের আগমন ঘটে তাদের সর্বত্র বর্জন করুন অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা
দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ ও চর হতে পারে পর্যটনের বিশাল জগতঃ বিডিজেএর সেমিনারে বক্তরা

দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ ও চর হতে পারে পর্যটনের বিশাল জগতঃ বিডিজেএর সেমিনারে বক্তরা

  1. দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ ও চর হতে পারে পর্যটনের বিশাল জগতঃ বিডিজেএর সেমিনারে বক্তরা

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ঘিরে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও সেখানে অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। জমির দাম আকাশছোঁয়া, ফলে সেখানে বিনিয়োগে মানুষের আগ্রহ কম। তাছাড়া জমি কেনাবেচায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিও রয়েছে। এসব ঠেকানো না গেলে কুয়াকাটাকে ঘিরে যে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা, তা কাগজে-কলমেই থেকে যাবে।’ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বরিশাল বিভাগের সাংবাদিকদের সংগঠন বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিডিজেএ)-এর সেমিনারে এসব কথা বলেছেন বিশিষ্টজনরা।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন চর ও দ্বীপকে কেন্দ্র করে মালদ্বীপের মতো পর্যটনের বিশাল জগত তৈরি করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন রাজধানীর সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ। পদ্মা সেতু চালু হলে সেই সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তবে যেকোনো উন্নয়নে পরিবেশ-প্রকৃতির সুরক্ষা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগেরও দাবি জানান তারা। বলেন, পদ্মা সেতু ও পায়রাবন্দরের মতো বৃহৎ প্রকল্পের কারণে নদী-খাল ও সবুজ বনানী পরিবেষ্টিত বরিশাল অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রতিবেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জমি অধিগ্রহণের প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয় সেমিনারে।

‘পদ্মা সেতু ও পায়রাবন্দর : দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম , সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপর যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসমাঈল, পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাংবাদিক নেতা শেখ মামুনুর রশীদ, নুরুল ইসলাম হাসিব, মাহবুব সৈকতসহ বরিশাল বিভাগের বিশিষ্টজনরা। সভা সঞ্চালন করেন সংগঠনের সভাপতি আমীন আল রশীদ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক তৌহিদুল আলম । জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক দেশেই সরকার জমি অধিগ্রহণ করলেও সেটি একবারে মালিকের কাছ থেকে কিনে না নিয়ে বরং বার্ষিক ভাড়াভিত্তিতে নিয়ে থাকে। অর্থাৎ জমির মালিকানা ঠিকই থাকবে এবং প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট হারে জমির মালিক জমির ভাড়া পাবেন। কিন্তু ওই জমি ব্যবহার করবে সরকার। এতে একদিকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেমন বাস্তবায়িতে হবে, তেমনি কেউ চিরদিনের মতো জমির মালিকানা হারাবেন না। উপরন্তু ক্ষতিপূরণের বেশি পয়সা পাওয়ার আশায় জমিতে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা ও নির্মাণ ও অনিয়ম-দুর্নীতিও বন্ধ হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সড়কনির্ভর উন্নয়নের প্রথম বলি হয় খাল,নদী ও জলাশয়। সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক ছোট ছোট নদী ও খালের মৃত্যু হয়েছে এ কথা সবার জানা। আবার সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে ছোট নদীর ভিতরেও অনেক পিলার দেয়ায় নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়, যা ধীরে ধীরে নদীকে মেরে ফেলে। পক্ষান্তরে এটিও ঠিক যে, সহজ ও দ্রুত যোগাযোগের জন্য সড়ক ও রেলপথই বেশি জনপ্রিয়। সুতরাং সড়ক, রেলপথ , সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করতে গিয়ে যাতে নদী-খাল ও জলাশয়ের মৃত্যু না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলে আলোচনারা উল্লেখ করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019